বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং বিচারপতি এএনএম বসিরর উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ তাকে জামিনের এ আদেশ দেয়।
রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন পাওয়া বিএনপি নেতা ফারুককে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবীর।
অন্যদিকে আদালতে ফারুকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব।
পরে ব্যারিস্টার সাকিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নাশকতার অভিযোগে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ৬ জানুয়ারি ও ৭ জানুয়ারি পল্টন থানায় ওই চার মামলায় দায়ের করা হয়।
ফারুকের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো হয় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে; দশম সংসদ নির্বাচনের বছর পূর্তিতে তখন আওয়ামী লীগকে হটাতে বিএনপির হরতাল-অবরোধে ব্যাপক নাশকতা ঘটেছিল।
ওই সময় রাজধানীর পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বায়তুল মোকাররম মোড়ে নাশকতার ঘটনায় পুলিশের করা ছয়টি মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফারুক গত ২ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।
এর মধ্যে মহানগর হাকিম নূর নাহার ইয়াসমিন দুই মামলায় তাকে জামিন দিলেও বাকি চারটির আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ওই চার মামলায় হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।
বিএনপি নেতা ফারুকের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকিব জানান, নাশকতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে।
এর মধ্যে হাই কোর্ট থেকে এই চার মামলার পাশাপাশি পল্টন থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা আরও এক মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন।
২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি দায়ের করা ওই মামলায় বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেয় বলে জানান ব্যারিস্টার সাকিব।