মেয়ের দেওয়া শাড়ি পরে সংসদে শেখ হাসিনা

মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের দেওয়া শাড়ি পরে সংসদে বাজেটের উপর বক্তব্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2017, 02:45 PM
Updated : 28 June 2017, 02:59 PM

ঐতিহাসিক নগরী সোনারগাঁ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে বুধবারই সায়মা বেগুনী রঙের এই জামদানী শাড়িটি কিনে আনেন।

সংসদে আলোচনায় নিজের সাধারণ জীবনযাপনের কথা বলার সময় এই মেয়ের উপহারের কথা বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।  

“আজকে (বুধবার) আমি একটা শাড়ি পরে আসছি। আমার মেয়ে.. আজকে তার কিছু বিদেশি বন্ধু এসেছিল। তারা সোনারগাঁ গিয়েছিল দেখতে। সেখানে তাঁতীরা তাঁত বুনে। সেখান থেকে এই শাড়িটা কিনে এনেছে।

“ছয় হাজার পাঁচশ টাকা দাম চেয়েছিল, সেখান থেকে নাকি আবার ৫০০ টাকা কম নিয়েছে।”

শেখ হাসিনা দামের বিষয়ে বলেন, “কম নেয়ার জন্য জামাই বাবাজিকে (স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে) বললাম পাঁচশ টাকা কম দিলে কেন? বরং পাঁচশ’ টাকা বেশি দিয়ে আসতে পারতে। সে বললো, ‘কিনতে গেলে তো একটু বার্গেইনিং করতেই হবে’।”

শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের মানুষের ভালো থাকাই আমাদের বড় চাওয়া। আজকে প্রধানমন্ত্রী আছি, কালকে না থাকলে চলে যাব। গাড়িতেও চড়তে পারি, ভ্যানেও চড়তে পারি, রিকশায়ও চড়তে পারি, পায়েও হাঁটতে পারি। সবই আমরা পারি।

“প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিমানের ফার্স্ট ক্লাসে যাই। আবার যখন থাকব না, ইকনোমি ক্লাসে চড়ব। আমরা সব কিছুর জন্য প্রস্তুত। পিতা-মাতা আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাক; এটাই একমাত্র কাম্য। আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করি বলেই দেশের উন্নতি করতে পারছি। নিজেদের কথা ভাবলে এটা করতে পারতাম না।”

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “আমার রাজনীতি ব্যক্তিগত কোনো ভোগ-বিলাসের জন্য নয়, উচ্চাভিলাষের জন্য নয়। আমার রাজনীতি বাংলার জনগণের জন্য।

“আমরা ক্ষমতাকে কখনও ভোগ-বিলাসের বস্তুতে পরিণত করিনি। ক্ষমতায় এসে কোন ব্র্যান্ড পরব, কোন ব্র্যান্ড নিয়ে চলব, কোন গাড়িতে চড়বো, কোন দেশ থেকে ফার্নিচার আনব, কত বড় স্যান্ডেলিয়ার (ঝাড়বাতি) লাগাব; ওই সব চিন্তা করি না। বরং স্যান্ডেলিয়ার সরিয়ে দিয়েছি। গণভবনে বোধ হয় একটা ‍দুটো আছে। বাকি সব সরিয়ে দিয়েছি। চেয়ারও বদলে দিয়েছি।”