সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দরকার জনগণের ঐক্য: ফখরুল

জনগণের ঐক্যই কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কার্য্কর ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2017, 01:01 PM
Updated : 28 June 2017, 01:01 PM

সম্প্রতি সিডনিতে ‘এশিয়া প্যাসিফিক ডেমোক্রেট ইউনিয়নের (এপিডিইউ)’ এক সভায় এই কথা বলেন তিনি।

সভার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে বলেন, “আজকে বিশ্বব্যাপী যে সন্ত্রাসবাদের বিস্তার হচ্ছে, যারা বিশ্বের শান্তি ও প্রগতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে, তা অবশ্যই রুখতে হবে সম্মিলিতভাবে। রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকলে, টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, জনঐক্য গড়ে তোলা গেলেই সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে না, জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব।

“বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় এখন সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। তা না হলে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তিময় বিশ্ব রেখে যেতে পারব না।”

সভায় বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া, মানবাধিকার পরিস্থিতির তুলে ধরার পাশাপাশি সস্ত্রাসবাদ নির্মূলে তার দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি উদার মধ্যপন্থি গণতান্ত্রিক দল। আমরা টেকসই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সবদলের অংশগ্রহণের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী।

“একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আমাদের দেশে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা মনে করি জনগণের ভোটাধিকারে জনগণের সরকার ও টেকসই গণতন্ত্রই কেবলমাত্র সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে, উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে পারে, জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।”

লিবারেল পার্টির ফেডারেল কাউন্সিলে যোগ দিতে গত ২০ জুন স্ত্রী রাহাত আরাকে নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

২৩ জুন সিডনিতে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির ৫৯তম ফেডারেল কনভেনশনে যোগ দেন তিনি। লিবারেল পার্টির আমন্ত্রণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পর্যবেক্ষক হিসেবে এই কনভেনশনে অংশ নেন। বিএনপি ছাড়াও আরো ১০টি দেশের রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এই কনভেশনে যোগ দেন।

এরপর বিএনপি মহাসচিব এপিডিইউর বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লিবারেল পার্টির প্রধান ম্যালকম টার্নবুল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

লিবারেল পার্টির কনভেনশন শেষ করে মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী ক্যানবেরায় বড় মেয়ে মির্জা সামারুহর বাসায় যান। সেখানেই তিনি ঈদ উদযাপন করেন।

আগামী ৩০ জুন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।