তিনি বলেছেন, ঈদে মানুষের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে সরকারি বিজ্ঞান কলেজে শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,“নির্বিঘ্নে ও সুন্দরভাবে যাতে জনগণ ঈদ পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দারা কাজ করছে।
“সারা দেশে রাস্তাঘাটে যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে সে জন্য হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে। চাঁদাবাজি ও ছিনতাই যাতে না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। রাস্তাঘাটে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই অনেক কমে গেছে, আশা করি আরো কমেবে।”
বাংলাদেশে নাশকতাকারীরা কোনো ধর্মের নয় দাবি করে তিনি বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যারা নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটায়, তারা মুসলমানের নামে, ইসলামের নামে ঘটায়। তারা আসলে মুসলমান নয়, তারা কোনো ধর্মের লোক নয়।তারা অধর্মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য মানুষ হত্যা করে।”
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোম অথবা মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বাংলাদেশের মুসলমানরা। বরাবরের মত এবারও ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।তবে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় হবে ঈদের প্রধান জামাত।
ঈদ জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহে থাকবে চারস্তরের নিরাপত্তা।ঈদগাহেতল্লাশি চৌকি, ওয়াচ টাওয়ার ও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার সঙ্গে থাকবে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াট, গোয়েন্দা পুলিশ এবং সাধারণ পোশাকের পুলিশ সদস্যদের সতর্ক নজরদারি। থাকবে ডগ স্কোয়াডও।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এবার ঈদগাহে শুধু জায়নামাজ নিয়ে আসতে মুসল্লিদের অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।