মন্ত্রী-এমপিদের দলীয় পদ ছাড়তে বললেন মহিউদ্দিন

মন্ত্রী-সাংসদরা দলীয় সভা ও কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় ক্ষুদ্ধ চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী তাদের পদ ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2017, 07:36 AM
Updated : 24 June 2017, 07:36 AM

আওয়ামী লীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

“ভালো প্রার্থী যাতে নৌকা প্রতীক পেতে পারেন এবং নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে খুঁটিনাটি জরিপ আমরা শুরু করেছি। তাই দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার বিজয় ছিনিয়ে আনতে দলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের কৌশল অবলম্বন করতে হবে।”

বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও নির্বাহী সদস্য যারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন, তারা দলের সভায় আসেন না; দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন না।

“দলের সাধারণ স্তরের নেতাকর্মীদের সাথে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তারা যদি পদ-পদবি ছেড়ে না দেন তাহলে মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করবে।”

এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেও এমপি-মন্ত্রীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নগর সভাপতি মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম এ লতিফ নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। চট্টগ্রাম-১০ আসনে সাংসদ আফসারুল আমীন দলের নগর কমিটির সহ-সভাপতি। আর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

এম এ লতিফ, আফসারুল আমীন ও নুরুল ইসলাম বিএসসি দলীয় কর্মসূচিতে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন। গত ১১ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ ঝাড়েন মহিউদ্দিন ও নাছির।

নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুই বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বে থাকলেও এই ইস্যুতে প্রায় একই সুর এই দুই নেতার। 

নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আফসারুল আমীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের। অন্যদিকে বন্দর নিয়ে লতিফের অবস্থান মহিউদ্দিনের বিরোধী শিবিরে।

শুক্রবারের সভার মুখ্য আলোচক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টমণ্ডলীর সদস্য অনুপম সেন বলেন, আওয়ামী লীগের জন্মের ঠিকুজির মধ্যেই বাঙালির স্বাধীন সত্তার অভ্যুদয়ের ইঙ্গিত মেলে। আজকের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ফসল।”

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি নঈমুদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।