বিচার বিভাগের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ সরকারের: ড. কামাল

বাজেটে বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ গত অর্থবছরের চেয়ে কমানোর প্রস্তাব করে সরকার ‘বিমাতাসুলভ আচরণ’ দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ড. কামাল হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2017, 12:05 PM
Updated : 16 June 2017, 01:47 PM

শুক্রবার রাজধানীতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন গণফোরাম সভাপতি।

তিনি বলেন, “রাষ্ট্রব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল বিচার বিভাগ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিচার বিভাগের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে। গত অর্থবছরের বাজেটে যেখানে বিচার বিভাগ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা, সেখানে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ কমিয়ে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।

বিচার বিভাগের সঙ্গে শিক্ষা খাতেও বরাদ্দ কমানো হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, “আমি বলব, বিচার বিভাগকে অর্থ না দেওয়া- এটা শুধু বিচার বিভাগ নয়, দেশ ও সমাজের জন্য ক্ষতি।

“বিচার বিভাগ যাতে স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেজন্য যা প্রয়োজন সেই বরাদ্দ দেওয়া উচিত। দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা রাখতে হলে বিচার ব্যবস্থাকে কার্য্কর ভূমিকায় রাখতে হবে।”

বিচার বিভাগ যাতে তার ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেজন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ড. কামাল, “বিচার বিভাগ কোর্ট ফি বিক্রি করে আয় করে। আপনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, ওই খাতে যে টাকা তোলা হয়, ততটুকু কিন্তু বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।

“আপনি দেখবেন যে অনেক জেলায় যে সেশন পোস্ট আছে, সেগুলো লোক নিয়োগ হয়নি। সে কারণে এতো মামলার জট। জরুরি ভিত্তিতে ওইসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত।”

প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ ও ব্যাংক হিসাবের ওপর আরোপিত বর্ধিত আবগারি শুল্ক আরোপের সমালোচনা করেন গণফোরাম সভাপতি।

 তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে ১৫% ভ্যাট আদায়ের বিরুদ্ধে প্রায় সকল মহল থেকে আপত্তি উঠেছে। ব্যাংক আমানতের উপর শুল্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেকে বিরোধিতা করেছে। আমরা মনে করি, এসব আপত্তি অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

“ভ্যাট ও ব্যাংকে ডিপোজিটের ওপরে যে শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে- এটা তো সরকারি দলের থেকে আপত্তি এসেছে, একজন মন্ত্রী বলেছেন ও একজন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন- এটা হওয়া উচিত না। সরকারের যারা এটার সমালোচনা করে তাদের সমর্থন আমরা করি।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেকেট সুব্রত চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ নেতা মফিজুল ইসলাম কামাল, তবারক হোসেন, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আওম শফিকউল্লাহ, মোশতাক আহমদ, ফরিদা ইসলাম ও সাইদুর রহমান সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।