মঙ্গলবার এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম কি দেশের এই অবস্থা দেখতে?”
গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে ২০ দলীয় জোট শরিক লেবার পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
একাত্তরে ঢাকায় সেনানিবাসে বন্দি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন জিয়া। জিয়া নিহত হওয়ার পর বিএনপির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও হন খালেদা।
খালেদা জিয়াকে বরাবরই ‘পাকিস্তানপ্রেমী’ বলে আখ্যায়িত করে আসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জন্যও জিয়াকে দায়ী করেন তিনি।
একাত্তরে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের জন্য কিছুকাল আগে ব্যাপক সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল খালেদা জিয়াকে।
লেবার পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার পাশে খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদ, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীমের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল হালিমও ছিলেন।
শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, “এক পরিবার সমস্ত কিছু দখল করে নেবে, কেউ গণভবন দখল করে নেবে, অমুক বাড়ি দখল করবে, তমুক করবে….। তাদের সব নিরাপত্তা দিতে হবে। শুধু তারাই নিরাপত্তা পাবে, সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নাই।”
“গুম-খুন হচ্ছে, যাকে তাকে গুম করে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে মানুষ পরিবর্তন চায়, এদেশের মানুষ আজকে জালেমদের কাছ থেকে মুক্তি চায়,” বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতেও আহ্বান জানান তিনি।