ইফতারেও বাধা দিচ্ছে সরকার: বিএনপি

শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয় বিএনপিসহ জোটের শরিকদের আয়োজনে ইফতারের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2017, 03:36 PM
Updated : 9 June 2017, 03:36 PM

শুক্রবার রাজধানীতে এক ইফতার অনুষ্ঠানে গিয়েই বিএনপি মহাসচিব সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সারা দেশে ইফতারের ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরকার বাধা দিচ্ছে। শুধু বাধাই দিচ্ছে না, এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে।”

বৃহস্পতিবার ভোলার তমিজউদ্দিন, তার আগের দিন খুলনায় বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠান পণ্ড করে সেখান থেকে নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে াভিযোগ করেন তিনি।

“আমাদের ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলাম, তারা বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আগামী ১২ তারিখে ইফতারের আয়োজন করেছিল, পুলিশ তা বন্ধ করে দিয়েছে।”

পুরানা পল্টনে ফারস হোটেলে ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের এর উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠান হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, “একদিকে সরকার আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দিচ্ছে না, অন্যদিকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা একদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে, অন্যদিকে তারা বিশেষ বিশেষ ধর্ম প্রতিপালনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে।

“এর থেকে এই সরকারের চরিত্র আরো বেশি করে উন্মোচিত হচ্ছে। সরকার যে মাঝে মাঝে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলে, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত না দেওয়ার কথা বলে সেটা যে শুধুমাত্র প্রতারণা- এই ঘটনাগুলো থেকে আরো পরিস্কার হয়ে যায়।”

এই সরকারের সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “হিন্দু ভাইদের মন্দির বিনষ্ট করা হয়েছে, তাদের জায়গা-জমি দখল করা হয়েছে। আমাদের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠি রয়েছে, তাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে; কয়েকদিন আগে রাঙামাটিতে ঘটনা ঘটেছে।”

‘মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখার সরকারের নীতির’ সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই সরকার নির্বাচনকে এককভাবে করার জন্যে, বিরোধী দলকে কোনো সুযোগ না দেওয়ার জন্যে বিভিন্ন কায়দায় কাজ করছে।

“আমরা বলতে চাই, নির্বাচন অবশ্যই সমান্তরাল ফিল্ডে হতে হবে, সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমরা আশা করব, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, দাম্ভিকতা ছেড়ে দিয়ে সহনশীলতাকে রেখে সকল মানুষের চিন্তা-ভাবনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে একটি নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

ইফতার মাহফিলে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুর হোসাইন কাসেমী, সহ-সভাপতি মুফতি আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা জহিরুল হক ভুঁইয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ও যুগ্ম মহাসচিব শাহীনুল পাশা চৌধুরীসহ জোট নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন মির্জা ফখরুল।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, মুসলিম লীগের কাজী আবুল বাশার, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী ও সাংবাদিক উবায়দুর রহমান খান নদভী ইফতারে অংশ নেন।