বৃহস্পতিবার সকালে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে ঢাকার জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে হাজিরা দিতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। সন্ধ্যায় গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে এনডিপির ইফতারে যান তিনি।
রোজার প্রতিদিনই ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া; ইফতারের আগে বক্তব্যও দিয়ে আসছেন তিনি।
এনডিপির ইফতারে খালেদা জিয়া বলেন, “আমি এত গরমে কথা বলতে পারছি না। আজকে সকাল থেকে গরমের মধ্যে আদালতে ছিলাম। এত গরম, এত রোদের মধ্যে।
“ওখানে এত এসি আছে, সেগুলো পর্যন্ত চালায় না। তারপরে রিমোট কোথায় লুকায়ে রাখে। কত নাটক ওখানেও হতে থাকে। তারপরে অনেক চিল্লা-চিল্লি করার পরে শেষের দিকে একটু এসি দিয়েছে।”
গরমে পেরেশান হওয়ার কথা বলার পর তিনি বলেন, “তাই আমার পক্ষ থেকে মহাসচিব বক্তব্য দেবেন।”
বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর; রাজধানীতে গত কয়েকদিনের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
খালেদা জিয়া মাইক ছেড়ে দেওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আজকে এই রোজার মাসেও আমরা শান্তিতে নেই। দেখেছেন, গতকালই আমাদের দলের সিনিয়র সদস্যকে তার বাড়ি থেকে জোর থেকে বের করে দিয়েছে।
“আজকে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে যেতে হযেছিল। সাতদিন পরে তাকে আবার কোর্টে যেতে হুকুম হয়। এথেকে বোঝা যায়, কী ধরনের নির্যাতন তারা করছে।”
খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এই মামলাগুলো করা হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল। তা থেকে সরে আসতে সরকারকে হুঁশিয়ারও করেন তিনি।
ইফতার অনুষ্ঠানে এনডিপির সভাপতি খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে বসেছিলেন খালেদা।
ইফতারে জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন এলডিপির অলি আহমদ, সাহাদত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, জাগপার রেহানা প্রধান, আসাদুর রহমান খান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ন্যাপের জেবেল রহমান গনি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল সাইফুদ্দিন মনি, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিশের শেখ গোলাম আজগর,এনডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল আলম চৌধুরী, আবদুস সালাম, ফজলুল হক মিলন, জেবা খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ইফতারে অংশ নেন।