প্রয়োজনে হাসিনাকে নামিয়ে নির্বাচন: খালেদা  

শেখ হাসিনা সরকার প্রধান থাকলে নির্বাচন কমিশন চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রয়োজনে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2017, 03:34 PM
Updated : 7 June 2017, 03:34 PM

ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে বুধবার দল সমর্থক প্রকৌশলীদের সঙ্গে ইফতারে একথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা বলেছি, হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। মানুষ আর এই অবস্থা দেখতে চায় না। মানুষ চায় সামনে পরিবর্তন। সেজন্য তারা চায় আগামী দিনে একটা নির্বাচন, সেই নির্বাচন হাসিনার অধীনে হলে সুষ্ঠু হবে না।

“হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে না এবং নির্বাচন কমিশন চাইলেও সুষ্ঠু হবে না। সেজন্য প্রয়োজন হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।”

শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও তা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েও বিফল হয় বিএনপি।

এরপর ওই নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তির কর্মসূচিতে বাধা পেয়ে টানা তিন মাস হরতাল-অবরোধ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। ওই সময় গাড়িতে পেট্রোল বোমাসহ সহিংসতার নানা ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, দাবি আদায়ে বিফল হয়ে ঘরে ফেরেন খালেদা জিয়া।

এরপর বিভিন্ন সময় বক্তব্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকারের দাবি করে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। প্রথম বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার কথা।

নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত হয়ে ‘নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া।

ইফতার মাহফিলের মূল্য মঞ্চে খালেদার সঙ্গে আয়োজক সংগঠন এ্যাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ড্যাব-এর অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, প্রকৌশলী আনহ আখতার হোসেন, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাছিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আহমেদ আজম খান, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল ইসলাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মামুন আহমেদ, শায়রুল কবির খান, মাহফুজউল্লাহ, আবদাল আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাহেদ চৌধুরী, কাদের গনি চৌধুরী, প্রকৌশলী মুনসিফ আলী, প্রকৌশলী আশরাফউদ্দিন বকুল, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সেলিম ভুঁইয়া, সাংসদ নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার প্রমুখ ইফতারে অংশ নেন।