বামপন্থি দল দুটি বলছে, “বাজেটে রাজস্ব আয়ের দুঃসহ ভারের সবটাই বহন করতে হবে গরিব মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষকে। এ সরকার ধনিক শ্রেণির সরকার। এ সরকার গরিবের পকেট কেটে ধনীদের পকেট ভর্তি করার সরকার।”
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর এক যৌথ বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান একথা বলেন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এই ব্যয় মেটাতে নতুন অর্থবছরে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন তিনি। এর মধ্যে কর হিসেবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা আদায় করা হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে; আর তার ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ, অর্থাৎ ৮৫ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব আসবে আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে।
এই বাজেটের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ হার রেখে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের করতে যাচ্ছে সরকার।
এর প্রতিক্রিয়ায় সিপিবি-বাসদ বলছে, “পহেলা জুন থেকে গ্যাসের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বৃদ্ধির ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষের জীবনধারণ ব্যয় বাড়বে। চার লক্ষ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করতে গিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর জন্য ঢালাও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাস্তবায়ন করে প্রত্যক্ষ করের তুলনায় দ্বিগুণ পরোক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
“রাজস্ব আয় বৃদ্ধির এ প্রস্তাব সকল পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি ঘটিয়ে মূল্যস্ফীতিকে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাবে।”
দল দুটি বলছে, “মোটা চালের দাম এ সময়ে বাংলাদেশে পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। রোজাকে সামনে রেখে মজুতদাররা ডাল, তেল, চিনি, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। দাম বৃদ্ধি প্রতিরোধে সরকার ব্যর্থ।”
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও প্রস্তাবিত ‘গণবিরোধী’ বাজেট প্রত্যাহার এবং চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ৫ জুন সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।