বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনের ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে এরশাদ বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ এটা এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ বাজেট, শুনতে ভালই লাগে, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা?”
উন্নয়নের ‘মহাসড়কে’ বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন সামনে রেখে নতুন অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রস্তাবিত বাজেটের এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১৭ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।
এবার মূল বাজেটের যে আকার মুহিত ধরেছেন, তা বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৮ শতাংশ। গতবছর প্রস্তাবিত বাজেট ছিল জিডিপির ১৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, “এটা জনকল্যাণমুখী কিনা তাও দেখতে হবে। বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধরা হয়েছে, জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে এ ভ্যাটের কারণে গরীব ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের উপর চাপ পড়বে কিনা সেটা দেখবার বিষয়।”
ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা ও জাতীয় ইসলামী মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক।