তারা দুজনেই শুক্রবার বলেছেন, ভাস্কর্যটি সরিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট এবং এক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
ইসলামী সংগঠনগুলোর দাবিতে সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সমর্থনের পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সরিয়ে ফেলা হয় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক লেডি জাস্টিসের আদলে গড়া ভাস্কর্যটি।
বাম দলগুলো এমনকি আওয়ামী লীগের জোট শরিকদের মধ্যেই শেখ হাসিনার এই অবস্থানের বিরোধিতা রয়েছে। আওয়ামী লীগের আদর্শচ্যুতির শঙ্কার কথাও জানান তাদের জোট শরিক দল জাসদের নেতারা।
ইসলামী দলগুলো রোজার আগেই জাতীয় ঈদগাহের কাছ থেকে ওই ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়েছিল। তার তিন দিন আগেই বৃহস্পতিবার তা সরিয়ে নেওয়া হয়।
চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীত করার কাজ পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, “গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের ক্ষমতা সরকারের কোনো এখতিয়ারে নেই। মূর্তি সরানো সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত।”
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে একই বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, যিনি নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
মওদুদ বলেন, “আমি আপনাদের জানাতে চাই, আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি তিনি এই ভাস্কর্য অপসারণের সিদ্ধান্ত নিজে নিয়েছেন। তিনি সরকারের নির্দেশে এটা করেন নাই।”
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মওদুদ তার দলের নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকনকে উদ্ধৃত করে একথা বলেন।
“আমাদের সেক্রেটারি খোকন এখন বললো, সমস্ত সিনিয়র আইনজীবী, সকলের সঙ্গে তিনি (প্রধান বিচারপতি) পরামর্শ করেছিলেন। কী করা যায়? তারা পরামর্শ দিয়েছিলেন, আপনি এই ভাস্কর্যটি সরিয়ে নিলে ভালো হয়।”
ভাস্কর্যটি নিয়ে সরকারের আচরণের সমালোচনাও করেন তিনি।
মওদুদ বলেন, “সেটা নিয়ে কত রকমের কথা-বার্তা হয়েছে, কত রকমের বির্তক তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ সকলেই এমন একটা ভাব যেন এই জিনিসটা, এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ তারা নেবেন।”