পদে থাকা অনুপ্রবেশকারীদেরও বাদ দেওয়া হবে: কাদের

অন্য দল থেকে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে যারা পদ দখল করে আছে তাদেরকেও যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে সদস্য পদ নবায়নের সময় বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2017, 11:45 AM
Updated : 25 May 2017, 12:06 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জেলা পর্যায়ের নেতাদের হাতে নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বুঝিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, “নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরোনোদের নবায়ন অভিযান যেন বিতর্কিত না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। কোনো প্রকার অনুপ্রবেশকারী, আবর্জনা যাতে দলে ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

“আর এই অনুপ্রবেশকারীরাই বিভিন্ন সময় দলের মধ্যে থেকে অপকর্ম করে দলের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করে।”

অন্য দলের যে সকল লোকজন অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আওয়ামী লীগের ঢুকে ইতোমধ্যে দলের বিভিন্ন পদ দখল করে আছেন তাদের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তাদের কে নবায়ন করা হবে না।”

অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে এবার আওয়ামী লীগ চূড়ান্তভাবে যাচাইবাছাই করবে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দিয়েছি, তারা সঠিকভাবেই দায়িত্ব পালন করবে। পরগাছাদের দলে প্রবেশ ঠেকাতে নতুন সদস্য নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই করতে হবে।”

জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে বলে দলের এক বর্ধিত সভায় সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার নেতারা অভিযোগ জানানোর পর জামায়াতের কাউকে দলে না ঢোকাতে নেতাদের সতর্ক করে দেন সভাপতি শেখ হাসিনা।

কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে চলমান নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির ক্ষেত্রে এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে বলার পর অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে হলে আগ থেকে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইভিএমের দাবি যৌক্তিক। আমরা ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ থাকতে চাই না, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জোরালোভাবে এই যুক্তি তুলে ধরব।”

নির্বাচনে ব্যালটের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসা বিএনপি গত সোমবার তাদের আপত্তির বিষয়টি চিঠি দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানায়।

দলটি সম্প্রতি তাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চাইলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

বিএনপিকে কেন সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “তাদের অনুমিত দেওয়া হবে কীভাবে? কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিমানবন্দরে এক সম্পাদক আরেক সম্পাদককে মেরেছেন।

“নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ করে তুলেছে। একজন আরেকজনকে সরকারের দালাল বলছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার নেতারা মারামারি করে। কেন্দ্রীয় নেতাদের পালিয়ে ঢাকায় আসতে হয়।”