বনানী কবরস্থানে সমাহিত শফিউল আলম প্রধান

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 04:39 PM
Updated : 22 May 2017, 04:39 PM

সোমবার রাতে বাবা পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার গমীরউদ্দিন প্রধানের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান

এ সময় তার রাজনৈতিক সহকর্মীসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত রোববার সকালে ঢাকার আসাদগেটের বাসায় মারা যান শফিউল আলম প্রধান। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

দাফনের আগে সোমবার বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রয়াত এ রাজনীতিবিদের শেষ নামাজে জানাজা হয়।

এতে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, নবাব আলী আব্বাস খান, এএসএম শামীম, গোলাম মোস্তফা, জেবেল রহমান গনি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, খন্দকার গোলাম মূর্তজা, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, সৈয়দ এহসানুল হুদা, সাঈদ আহমেদ, জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান এবং ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামীসহ কয়েকশ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও মুসল্লি অংশ নেন।

এর আগে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে জানাজা শেষে দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।

কুলখানি শুক্রবার

শুক্রবার বাদ আসর রাজধানীর আসাদগেইটের বাসায় শফিউল আলম প্রধানের কুলখানি হবে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এ শরিক নেতার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ছাত্রলীগের মাধ্যমে। ১৯৭৩-৭৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৭৪ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলে সাতছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আসামি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।

সে সময় কারাগারে যেতে হলেও পরে জিয়াউর রহমানের সময়ে মুক্তি পান এবং ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল রমনা গ্রিনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করে তার সভাপতি হন শফিউল আলম প্রধান।