সেই সঙ্গে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমকে ‘আরও সর্তকতার সঙ্গে’ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকরা।
বুধবার দুপুরে দলীয় প্যাডে সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদের স্বাক্ষরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই চট্টগ্রামের দুই জেলা কমিটির বিভক্তি নিরসন এবং নতুন কমিটি দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন বলে খবর আসার এক দিনের মাথায় দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এল।
সেখানে বলা হয়, “দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে’ দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই নেতার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
“তারা এখন থেকে দলের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমে জড়িত থাকতে পারবেন না। এ আদেশ অবিলম্বে কার্য্কর হবে।”
একই কারণে শামীমকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
গত ২ মে চট্টগ্রাম উত্তর এবং ৩ মে দক্ষিণের কর্মীসভা দলীয় কোন্দলের কারণে মারামারিতে পণ্ড হয়ে যায়। তবে ৪ মে মহানগর বিএনপির কর্মী সভা হয়।
অব্যাহতির চিঠি পাওয়া গাজী শাহজাহান জুয়েল ও আবদুল্লাহ আল হাসানও ছিলেন ওই বৈঠকে।
আড়াই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সেদিন সিদ্ধান্ত হয় চট্টগ্রাম ‘উত্তর’ ও ‘দক্ষিণ’ জেলা কমিটি কেন্দ্র থেকেই করে দেওয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরকম গ্রুপিংয়ের জন্য কয়েকজন নেতাকে বৈঠকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। আমাদের চেয়ারপারসন বলেছেন, তিনি আর কোনো গ্রুপিং দেখতে চান না। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”