গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার: এরশাদ

অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নয় বছর বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন করে রাখার পর গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ গণতন্ত্রের প্রয়োজন অনুভব করছেন এখন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2017, 01:22 PM
Updated : 16 May 2017, 01:23 PM

তিনি বলেছেন, “সমাজে অস্থিরতা রয়েছে, প্রতিকূলতা রয়েছে। আমরা যথাযথ গণতান্ত্রিক পরিবেশ ‍সৃষ্টি করতে পারিনি।

“ইভিএম আসুক, আর যা-ই আসুক; গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, হওয়া সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই যথাযথ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন, এজন্য আমাদের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।”

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (ফাইল ছবি)

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক সভায় একথা বলেন দলের চেয়ারম্যান এরশাদ।

বিএনপিবিহীন সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টির আগামী নির্বাচনে বড় জোট নিয়ে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনাও জানান তিনি।

নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকলেও বিএনপির অনুপস্থিতিতে দশম সংসদে নানা নাটকীয়তার পর আলাদাভাবে অংশ নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসলেও সরকারেও যোগ দেয় জাতীয় পার্টি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইসলামী কয়েকটি দল নিয়ে একটি জোট গড়েছে দলটি।

এরশাদ বলেন, “আমাদের জোট নিয়ে অনেক সমালোচনা যেমন হয়েছে, আলোচনাও হয়েছে; অনেকে আশান্বিত হয়েছে। বর্তমানে ৫৮টি দল আছে, সামনে আরও দল অন্তর্ভুক্ত হবে। সবাইকে ডাকব, সবার সঙ্গে মিটিং করব। আমরা দেখিয়ে দেব- আমাদের শক্তি আছে।”

সেই সঙ্গে নিজেদের সামর্থ্যের ঘাটতিও উঠে আসে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কথায়।

“সমস্যা হলো, আমাদের প্রার্থী নাই, কর্মী নাই। এই মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন প্রার্থী সৃষ্টি করা, কর্মী সৃষ্টি করা। এই বয়সে আমি সারা দেশে ঘুরে ঘুরে জাতীয় পার্টিকে সংগঠিত করছি, তোমরাও সক্রিয় হও। বক্তৃতা নয়, কাজ…মাঠে যাও, জনগণের সঙ্গে কথা বল।”

আওয়ামী লীগের কাছাকাছি ভোট অর্জনের স্বপ্নও দেখছেন এরশাদ।

“আওয়ামী লীগ শক্তিশালী দল, এটা আমাদের স্বীকার করতে হবে। কিন্তু চেষ্টা করলে আমরা আওয়ামী লীগের কাছাকাছি যেতে পারি। জাতীয় পার্টি ইজ বিকামিং ইম্পর্টেন্ট ইন পলিটিক্স।”

সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, “৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলেন, কীভাবে মানুষ বাস করে তা কি আপনারা দেখেছেন?

“ঢাকা শহরে রেললাইনের পাশে চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষ বসবাস করছে। গ্রামে কাজ নেই, খাদ্য নেই..মানুষ চরম দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে- এগুলো আপনারা দেখেন? শুধু কথার ফুলঝুড়িতে মানুষ ভুলছে না।”

এই সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার, ঢাকা উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফখরুল ইমাম ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন উপস্থিত ছিলেন।