এসব মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা আবেদন শুনে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহর বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
ওই তিন মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
আদেশের পর মাহবুব উদ্দীন খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। তারপরও রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে ‘নির্দেশদাতা ও উসকানিদাতা’ হিসেবে এসব মামলায় জড়োনো হয়েছে।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির বলেন, হাই কোর্টের এ আদেশের বিপক্ষে আপিল বিভাগে যাবেন তারা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও দারুসসালাম থানায় ওই তিন মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযোগপত্র দিলে ঢাকার হাকিম আদালত গতবছর অগাস্টে তা আমলে নেয়।
হাকিম আদালতের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হওয়া আরও অন্তত ছয়টি মামলা গত এপ্রিলে হাই কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে।