রোববার এক আলোচনা সভায় তার দাবি করার মধ্যেই আরেকটি আলোচনা সভায় বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ‘ভিশন ২০৩০’ এর নানা সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মওদুদ বলেন, “ভিশন ২০৩০ আমাদের সনদ। বাংলাদেশকে আমরা ২০৩০ সালে কীরকম দেখতে চাই, কী স্বপ্ন আমাদের মনে আছে- তারই প্রতিফলন এই ভিশন।
“আমি আপনাদের অনুরোধ করব, আমাদের ভিশনটা সবাই পড়ুন। দেখবেন, এমন কোনো ক্ষেত্র নাই, যে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের বক্তব্য উত্থাপন করি নাই। দেশের মানুষকে কী উপহার দেব, কী কাজ আমরা করতে পারব, তা এখানে রয়েছে।”
এদিন জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরেক আলোচনা সভায় ‘ভিশন ২০৩০’ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল, র্যাব বিলুপ্তি, ধূমপান নিবারণ, ভারতের ‘সম্প্রসারণবাদের’ বিরুদ্ধে বক্তব্য না থাকার সমালোচনা করেন।
গত গত ১০ মে খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ তুলে ধরেন। ক্ষমতায় গেলে তারা কী কী করবেন, তা সবিস্তারে জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে এখন আইনের শাসন নেই।
“যে শাসন আছে সেটা হলো দলীয় শাসন। একই আইনের প্রয়োগ সরকারি দলের জন্য একরম, বিরোধী দলের জন্য অন্যরকম। একই রায় সরকারি দলের জন্য দেওয়া হয়, সেই রায় আমাদের জন্য প্রযোজ্য হয় না।”
বিচার বিভাগে এখন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ‘প্রখর’ বলে দাবি করেন সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ।
“আজকে বিচারকদের উপর সরকারের প্রচণ্ড রাজনৈতিক চাপ রয়েছে যার জন্য তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না, ইচ্ছা করলেও পারেন না এবং অনেক সময় যারা করেন তারা তিরস্কৃত হন।”
একাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মওদুদ বলেন, “এমন একটি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, যাদের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ থাকবে না।”
জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর উদ্যোগে এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপন।
আলোচনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির নেতা বোরহানউদ্দিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) নেতা আহসান হাবিব লিংকন।