তার দাবি, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িতার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিএনপির সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সরকারী কর্মচারী সমিতির কাউন্সিল অধিবেশনে ওবায়দুল কাদের বলেন, “জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার ভিশনে কিছু নেই। সাম্প্রদায়িকতার কোনো কথা নেই।
“তার মানে, এ দেশে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি। এই ভিশনের মাধ্যমে এটাই তারা প্রমাণ করে দিয়েছে।”
গত বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন ক্ষমতায় গেলে বিএনপির কর্মপরিকল্পনা ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন। তাতে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদকে সব রাষ্ট্রের জন্যই হুমকির কারণ বলে উল্লেখ করেন।
জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনের পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তি ও সম্প্রীতির মূল্যবোধ শক্তিশালী করা এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপকে উৎসাহিত করা হবে।
বিএনপির ইভিএমের বিরোধিতা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি যে কোনো ভালো প্রস্তাব রাখলেই মানতে রাজি না। সব কিছুতেই তারা (বিএনপি) বলে মানি না, মানব না।”
ইভিএম পদ্ধতি চালুর বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মতামত চাইলে তারা ইতিবাচক মত জানাবেন।
ইভিএম পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের (২০১১ সালে) বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। তাই এই পদ্ধতি নিঃসন্দেহে ভালো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটগ্রহণ নির্ভুল হবে।”
নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকারের’ যে দাবি বিএনপি তুলেছে, তাও নাকচ করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
“আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর সেই নির্বাচন তো শেখ হাসিনার অধীনে হচ্ছে না। নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনারের অধীনে। তখন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে।”
বিএনপি ২০০১ সালেও একটি ‘ভিশন’ দিয়েছিল বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আপনাদের ওই ভিশন ছিল আহসানউল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া সাহেব, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার, হাওয়া ভবনের ভিশন।
“সেই ভিশনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল, বিচারপতি আজিজকে দিয়ে এক কোটি ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার বানানো হয়েছিল।”
সরকারী কর্মচারী সমিতির এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা জালাল মহউদ্দিন।