রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শুক্রবার বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমত তুলে ধরেন খাদ্যমন্ত্রী।
কামরুল বলেন, “এই বক্তৃতা যেমন বিরাট প্রচার করে কী বললেন তা বুঝি নাই। তবে একটা বিষয় বোধগম্য হয়েছে, নির্বাচনে তিনি আসবেন এর একটা অজুহাত দাঁড় করিয়েছেন। নির্বাচনে আসার প্রাথমিক পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন।
“আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে তিনি আসবেন, এর একটি প্লাটফর্ম সেদিন তিনি তৈরি করেছেন- এটাই আমরা বুঝতে পেরেছি, এর বেশি বুঝিনি।”
‘বিএনপির নির্বাচনে আসার এই পদক্ষেপকে’ স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাদের সাথে নির্বাচনী খেলা খেলতে চাই। তাদেরকে ছাড়া একা মাঠে আমরা গোল দিতে চাই না।”
আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প ২০৪১’ সামনে রেখে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া দেখি আমাদেরকে অনুসরণ করে দুইঘণ্টা সেদিন বক্তৃতা দিলেন... অন্তসারশূন্য বক্তৃতা। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর নাই।
“এই বক্তৃতায় তিনি কী করলেন, কী ভেলকিবাজি, কী কথা বললেন সেটা আমাদের অনেকেরই অনুধাবন হয়নি। একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের বিষয়ে সেটার মধ্যে কোনো কথা নেই।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের ‘রূপকল্প ২০৩০’ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি বলে মন্তব্য করে কামরুল বলেন, অতীতে বিএনপির কর্মকাণ্ড ‘আগুন সন্ত্রাস’ ও লুটপাটতন্ত্র ছিল।
“তাদেরকে (বিএনপি) আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনবে, বাংলাদেশের মানুষ এমন বোকামি করবে না। বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।”
প্রধানমন্ত্রীর স্বামী পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এস এ ওয়াজেদ মিয়ার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শেখ রাসেল শিশু সংসদ।
সংসদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হোসেন মনসুরের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী ও শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন প্রমুখ।