নতুন জোটের দুটি ছাড়া সব এরশাদের তৈরি: ফখরুল

নতুন আত্মপ্রকাশ করা ‘সম্মিলিত জাতীয় জোটের’ দুটি ছাড়া বাকি দলগুলো এইচ এম এরশাদের তৈরি বলে দাবি করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2017, 06:32 PM
Updated : 7 May 2017, 06:32 PM

রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির কর্মী সভায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।

এদিন সকালে এক সময় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে থাকা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে ‘ইসলামী মূল্যবোধের’ নতুন এক জোট আত্মপ্রকাশ করে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সম্মিলিত জাতীয় জোট’, সংক্ষেপে ইউএনএ।

প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল ইসলামিক ফ্রন্ট, মাসখানেক আগে ৩৪ টি ইসলামপন্থি সংগঠনকে নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা ‘জাতীয় ইসলামী মহাজোট’ এবং ২০১৫ সালে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে পরে তাকেই অব্যাহতি দেওয়া ৩১ সংগঠনের ‘বাংলাদেশ জাতীয় জোট’ রয়েছে এরশাদের এই নতুন জোটে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে শুনলাম যে, তথাকথিত সেই গৃহপালিত বিরোধী দল, তারা জোট গঠন করেছে একটা।

“নতুন জোট, ৫৯টি দলের জোট। এর মধ্যে মাত্র দুইটা দল নাকি নিবন্ধিত। আর বাকি সব তার (এরশাদ) তৈরি করা।”

বিরোধী দলে থাকার পরও সরকারের মন্ত্রিসভায় দলটির তিন নেতার অংশ নেওয়ার সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।     

“তিনি (এরশাদ) নিজে সরকারের বিশেষ দূত হয়েছেন। তারা আবার সরকারের বিরোধিতা করবেন, জোট তৈরি করেছেন মহাজোটের মধ্যে থেকে। জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটের মধ্যেই আছে।

“এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে তারা মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসবেন কি আসবেন না। তারপরে জানে, বেরিয়ে আসলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।”

রাজধানীর গুলিস্তানে কাজী বশির (মহানগর নাট্যমঞ্চ) মিলনায়তনে এ কর্মী সভায় বক্তব্য দেন ফখরুল।

দলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে সারা দেশে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “৫১ জন নেতা সারা দেশে আমাদের কর্মী ভাইদের সাথে কথা বলার জন্য যাচ্ছেন। আমরা দেখি- চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহে, কালকে মাদারীপুরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা আমাদের সভা ভেঙে দিয়েছে। আজকে নড়াইল ও কুষ্টিয়ায় কর্মী সভা করার কথা ছিল, কিন্তু সেই কর্মীসভা করতে দেয়নি।”

সরকার বিএনপিকে ‘ভয় পায়’ বলেই এ ধরনের ‘ছোট-খাট’ কর্মীসভাও করতে দিতে চায় না বলে দাবি ফখরুলের।

বিএনপির মহানগর দক্ষিণের নতুন নেতৃত্ব ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ আন্দোলনকে আরও জোরদার করবে বলে তিনি আশা করছেন।

“নতুন-পুরাতন ও নবীন-প্রবীনদের মিশ্রনে যে নেতৃত্ব এসেছে, আবার ঢাকার গণতন্ত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে। আমাদের দলের পরিসর আরও বাড়াতে হবে। নতুন নতুন কর্মী নিয়ে আসতে হবে। সেজন্য মহল্লায় মহল্লায় সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।”

দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন।