মারামারির জন্য পরস্পরকে দুষছে ছাত্রফ্রন্টের দুই অংশ

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের জন্য পরস্পরকে দুষছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দুই অংশের কেন্দ্রীয় নেতারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2017, 06:24 PM
Updated : 30 April 2017, 06:24 PM

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন বাসদ (মার্কসবাদী) সমর্থক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার জন্য অন্য অংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমরান হাবিব রুমনকে দায়ী করেছেন।

অন্যদিকে বাসদ (খালেকুজ্জামান) সমর্থিত ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি রুমন দাবি করেছেন, মনিকা নেতৃত্বাধীন ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরাই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অংশের নেতা-কর্মীদের উপর আগে হামলা চালিয়েছিল।

রাজনৈতিক দল বাসদ (খালেকুজ্জামান)  ভেঙে যাওয়ার পর তাদের ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টও দুই ভাগে বিভক্ত হয়।

খালেকুজ্জামান নেতৃত্বাধীন বাসদের ছাত্র সংগঠন হিসেবে এখন কাজ করছে রুমন নেতৃত্বাধীন ছাত্রফ্রন্ট। মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ও শুভ্রাংশু চক্রবর্তী নেতৃত্বাধীন বাসদের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি এখন মনিকা।

 কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল ছাত্রফ্রন্টের দুই অংশের সংঘর্ষ বাঁধে। এরপর থেকে ওই কার্যালয়ে তালা ঝুলছে।

সংবাদ সম্মেলনে মনিকা বলেন, কার্যালয় দখলের জন্য অন্য অংশের নেতা-কর্মী পুলিশের সহায়তা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

“এ দায় ইমরান হাবিব রুমনের। তিনি উপস্থিত থেকে এর হামলা তত্ত্বাবধান করেছেন।”

ইমরান হাবিব রুমন

মনিকা ছাত্রফ্রন্ট কার্যালয়ের তালা খুলে দেওয়া এবং হামলাকারীদের শাস্তি দিতে বাকৃবি কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

মনিকার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইভা মজুমদার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, অর্থ সম্পাদক শরিফুল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে ক্যাম্পাসে মিছিলও করেন তারা।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রফ্রন্টের অন্য অংশের সভাপতি রুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“২৭ এপ্রিল আমাদের সংগঠনের কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে নাস্তা করতে গেলে তারা (অন্য পক্ষ) আগে মারধর করে।

“পরদিন সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই অফিস কক্ষে আলোচনা করতে গেলে তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে। পরে পুলিশ ও প্রশাসন গিয়ে তাদের বের করে তালা দিয়েছে।”