রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো কোন্দল নেই। যেহেতু কেন্দ্রে বিভেদ নেই, তাই তৃণমূল পর্যায়েও বিভেদ টিকে থাকতে দেওয়া হবে না।
‘গডফাদারসুলভ’ মনোভাব নিয়ে চলা কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
“কেউ এসে গডফাদারসুলভ আচরণ করবে এবং তা কন্টিনিউ করবে? এই গডফাদার চরিত্র নিয়ে তিনি নমিনেশন পাবেন, এমপি হবেন, মন্ত্রী হবেন, এই আশা যারা করছেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।”
এক্ষেত্রে সফল হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কাদের বলেন, “কেউ এতটা পাওয়ারফুল না যে তাদের কন্ট্রোল করা যাবে যে কোনো সমস্যা সমাধানে প্রথমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা আলোচনা করে ব্যর্থ হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি হস্তক্ষেপ করেন বলে জানান কাদের।
“আমি ফেল করলে আমাদের নেত্রী আছে। হবে না কেন?”
দলে শৃঙ্খলা আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে কাদের বলেন, “আমাদের সুবিধা সেন্ট্রালে নেতায় নেতায় কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। তৃণমূলে যে সমস্যা, সেটা দীর্ঘ দিনের। এটা নিরসনে আমরা কাজ করছি।”
জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে জরিপ চালানো হচ্ছে। শেখ হাসিনা কয়েকটি জরিপ পরিচালনা করছেন। সেই জরিপ এবং তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ‘নিজের গরজেই’ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
“আমরা যদি বিরোধী দলে থাকতাম, তাহলে কী চিন্তা করতাম? বিএনপি কি তার বাইরে চিন্তা করবে? তাছাড়া গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে ভুল করেছে, আবার কি সেই ভুল করবে “
ইসির নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিও বিএনপি নিতে চাইবে না বলে ভোট বর্জনের চিন্তা এবার করবে না বলে মনে করেন কাদের।
পাশাপাশি তিনি বলেন, “এই ঝুঁকিটা তারা কেন নেবে? আমাদের সামনা-সামনি হয়ত আলাপ-আলোচনা নেই, কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় দেখা-সাক্ষাত তো হয়, কথা-বার্তা তো বলি, আমরা কি তাদের ‘অ্যাটিচিউড’ বুঝি না? অবশ্যই বুঝি।”