রোববার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “কোনো সংশয় নেই, আগামী নির্বাচন যথা সময়ে হবে। কোনো ফরমুলা দিয়ে কাজ হবে না, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধীনে যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
“তাই বিএনপির বন্ধুদের বলি, ফরমুলা দেওয়া বাদ দেন, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন।”
দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয় এমন কোনো বেসামাল কথাবার্তা না বলতে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম।
“জনগণ তাদের ক্যামেরা আমাদের দিকে তাক করে রেখেছে। শেষ সময়ে সবাই বেশি বেসামাল হয়ে পড়ে। কথাও বেসামাল হয়ে যায়, কাজেও বেসামাল হয়ে যায়। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ মিলন হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে চিকিৎসক ও শিক্ষকসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
“আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আমাদেরকে আবার জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে।
“আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে, নিজেদের মধ্যে কোনো দলাদলি করা যাবে না। নিজেরা যদি দলাদলি করি তাহলে কেমন হয় বলেন? আপনারা ডাক্তার, আপনাদের কাজ জনগণকে সেবা দেওয়া।
“কিন্তু আপনারা যদি দলাদলি করেন তা হলে জনগণ তো সেবা পাবে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ বক্তব্য দেন।
এর আগে ২০তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়।