শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় মহিউদ্দিনকে মুরুব্বির ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের।
তিনি বলেন, “দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগই পথ দেখিয়েছে। আমি মনে করি, চট্টগ্রামের সবার মুরুব্বি মহিউদ্দিন চৌধুরী।
“যা হবার হয়ে গেছে। সামনে আর এমন দেখতে চাই না। নাছির মহিউদ্দিন ভাইয়ের ছেলের মতো। সে কোনো ভুল করলে ঘরে ডেকে নিয়ে শাসন করবেন।”
সম্প্রতি চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই দুই নেতার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের: “ধৈর্য্য ধরা উচিত ছিল। এখানে কাদা ছোড়াছুড়ি ব্যক্তিগত পর্যায়ে গেছে।”
দলীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ হলে আমাদের রক্ষা করার আর কেউ থাকবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাইরের শক্তিকে আমরা মোকাবেলা করতে পারব। আপন ঘরে যদি শত্রু থাকে তার আর বাইরের শত্রুর দরকার নেই।
“রাজনীতিতে হেলদি কম্পিটিশন চলবে, কিন্তু আনহেলদি প্রতিযোগিতা শুভ নয়।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সুসংগঠিত, স্মার্ট, আধুনিক আওয়ামী লীগ হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।”
সিটি করপোরেশনের গৃহকর বাড়ানো এবং নগরীর পাথরঘাটা থেকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সরানো নিয়ে সম্প্রতি বিরোধে জড়িয়ে পড়েন নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দিন।
রাজনীতির মাঠে এক সপ্তাহ উত্তাপ ছড়িয়ে ১৭ এপ্রিল নগরীর শহীদ মিনারে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় এ দুই নেতা এক মঞ্চে উঠে পরস্পরের হাত ধরে ঐক্যের ঘোষণা দেন।
শনিবারের প্রতিনিধি সভার আগেও দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধের বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে।
প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে দলীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দেন। আবার যাতে বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে সেজন্য সভায় তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্যও নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রতিনিধি সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “প্রমাণ করেছি, রাজনৈতিকভাবে আমরা এক ও অভিন্ন।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অনেক গুঞ্জন শুনেছি, এতে কান দেবেন না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা কাজ করব। কথা কাটাকাটি নয়, বন্ধুত্ব নিয়েই আমরা কাজ করব। সামনে নির্বাচন আসছে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’’