ঢাকা উত্তরে বিএনপির নতুন কার্যালয় হচ্ছে

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির কমিটি দেওয়ার পর এখন উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন কার্যালয় খুলছে দলটি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2017, 01:28 PM
Updated : 22 April 2017, 01:36 PM

ঢাকার দুই কমিটির নেতারা শনিবার নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি একথা বলেন।

ফখরুল বলেন, “এটা (নয়া পল্টন) দক্ষিণে পড়েছে। এটা দক্ষিণের অফিস। উত্তরের অফিস উত্তরেই হবে। উত্তরের অফিস আলাদাভাবে তৈরি করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।”

নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিক বিপরীতে ‘ভাসানী ভবনে’ ঢাকা মহানগর বিএনপির কার্যালয় প্রায় দুই দশক ধরে। উত্তরের নতুন কার্যালয় হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই দুই কমিটির নেতারা বসবেন বলে বিএনপি মহাসচিব জানান।

উত্তরের কার্যালয়ের জন্য মহাখালী ও কুড়িল এলাকায় ভবন খোঁজা হচ্ছে বলে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান জানিয়েছেন।

নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়। সাধারণত ওই কার্যালয় ঘিরেই মিলিত হন দলটির নেতাকর্মীরা। এর বাইরে কয়েক বছর ধরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দল ও জোট নেতাদের বৈঠকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর পুরনো ঢাকার নয়া বাজারে নওয়াব ইউসুফ মার্কেটের দোতলায় কার্যালয় করে মহানগর বিএনপি। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা নয়া পল্টনে কার্যালয় করেন। ইউসুফ মার্কেটে এখনও কার্যালয় থাকলেও সেটা স্থানীয় বিএনপিই ব্যবহার করে।

ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি হাবিবুন্নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব এবং উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ নেতারা সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিবের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ভাসানী ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম প্রায় দুই বছর ধরে আত্মগোপনে। গুলশানে ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লা হত্যা মামলায় পরোয়ানা নিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে আছেন। 

ঢাকার দুই কমিটি নিয়ে আশাবাদী মির্জা ফখরুল বলেন, “এই কমিটি যেভাবে গঠন করা হয়েছে তরুণ ও প্রবীনদের একটা মিশ্রণ হয়েছে। এই কমিটি ঢাকায় জনগণের মাঝে অবস্থান তৈরি করতে পারবে এবং জনগণকে নিয়ে প্রয়োজনে তারা যে আন্দোলন সেই আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে পারবে।

“ঢাকা মহানগরে বিএনপির সব সময় শক্তিশালী সংগঠন ছিল। আমি প্রত্যাশা করি, নতুন কমিটি ঢাকা মহানগরের অতীত ঐতিহ্যকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।”