শফী হুজুরের জঙ্গিবিরোধী অবস্থান লাভ নয় কি: ওবায়দুল কাদের

সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য অপসারণ এবং কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির ‘লাভ’ হিসেবে হেফাজত আমিরের মুখে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য সমালোচনাকারীদের দেখালেন ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2017, 09:35 AM
Updated : 15 April 2017, 10:20 AM

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শনিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির পরে আল্লামা শফি হুজুর গতকাল এক জনসভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছে। তার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা লাভ নয় কি?”

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী নেতৃত্বাধীন একদল ওলামার সঙ্গে বৈঠকে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাস্কর্য অপসারণ এবং কওমির সর্বোচ্চ সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান ঘোষণা করেন।

গণজাগরণবিরোধী হেফাজত দাবি তোলার পর এই দুটি পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ কট্টর ইসলামীদের সঙ্গে আপস করল বলে বিভিন্ন মহল থেকে মন্তব্য এসেছে। এতে জঙ্গিবাদী দর্শন আরও উৎসাহিত হবে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

একে আপস বলে মানতে নারাজ ওবায়দুল কাদের বলেন, “অনেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির সঙ্গে হেফাজতের স্বীকৃতি বলে গুলিয়ে ফেলে। আমাদের স্বীকৃতি হচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল অবকাঠামোর মধ্যে কওমি মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা।

“প্রায় ১৪ লাখ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎতের মধ্যে থাকে। তাই আমরা কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি দিয়েছি। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন ও নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা হবে।”

শাহ আহমদ শফী

এই ঘটনাটিকে আওয়ামী লীগের আদর্শচ্যুতির লক্ষণ বলে মনে করছে তাদের জোটসঙ্গী দল জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাস্তবতাই হচ্ছে প্রগতিশীলতা। বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে কেউ প্রগতিশীল হতে পারে না।”

ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

খ্রিস্টান সম্প্রদায় ইস্টার সানডের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা, মন্ত্রিসভায় তাদের অংশীদারিত্ব, যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধাসহ বেশ কিছু দাবি তুলেছেন জানিয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “এগুলো নিয়ে আমি নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব।”

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ূয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।