আ. লীগ সমর্থক আইনজীবীদের দুই সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দল সমর্থক আইনজীবীদের পরাজয়ের পর দলীয় কোন্দল মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে আওয়ামী লীগ।

কাজী মোবারক হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 02:04 PM
Updated : 13 April 2017, 02:12 PM

আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ নামে দুই সংগঠনে বিভক্ত আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বুধবার গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এই দুই সংগঠনের কমিটিই বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানিয়েছেন।

এর কারণ ব্যাখ্যায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা বারসহ আমরা বেশ কিছু আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হেরেছি। এর পিছনে প্রধান কারণ নিজেদের মধ্যে বিভক্তি। তাই গতকাল কার্যনির্বাহী বৈঠকে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের দুই কমিটিকেই বিলুপ্ত করা হয়েছে।”

গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আটটিতেই জয় পায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল। আর আওয়ামী লীগ সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ পায় একটি সহসভাপতি, একটি সহসম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ছয়টি পদ।

ওই নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, যিনি দল সমর্থক আইনজীবীদের কোনো সংগঠনের পদে নেই। আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া রবিউল আলম বুদু বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থক যেসব আইনজীবী এসেছিলেন, তাদের অধিকাংশই বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদে যুক্ত ছিলেন। এই পরিষদের নেতৃত্বে আছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আব্দুল বাসেত মজুমদার।

অপরপক্ষে সাহারা খাতুন নেতৃত্বাধীন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে সক্রিয়দের বেশিরভাগ নিম্ন আদালতের হলেও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের মধ্যে সমিতির সাবেক সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দিন মেহেদী রয়েছেন এই দলে। এই ফোরামের প্রতি সমর্থন রয়েছে ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম প্রভাব বলয়ের।

এই প্রেক্ষাপটে দল সমর্থক আইনজীবীদের একই ছাতার নিচে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের ওই বৈঠকে উপস্থিত একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুটি সংগঠন বিলুপ্ত করে আগামীতে নতুন একটি সংগঠন করা হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই মত দিয়েছেন। আর এর মূল কারণ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল।”