হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে ওলামাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরদিন বুধবার এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানায় আওয়ামী লীগের এক সময়ের মিত্র দলটি।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তকে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-ধারা থেকে পদস্খলন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রে পাকিস্তানি আমলের সাম্প্রদায়িক পশ্চাদপদতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
“সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ এবং তার সঙ্গে মিতালি স্থাপনের যে নীতি সরকার অনুসরণ করছে, তা একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের অবশিষ্ট অর্জনগুলোকে বিনষ্ট করবে, সঙ্গে সঙ্গে হবে চরম আত্মঘাতী।”
এ ধরনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিকাশ ও বিস্তারের ক্ষেত্র তৈরি করবে বলেও মনে করে সিপিবি।
সিপিবির বিবৃতির আগে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নও একই প্রতিক্রিয়া জানায়।
ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলোর দাবিতে তার সায় জঙ্গিবাদে মদদ জোগাবে।