বৃহস্পতিবার এই সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই ঢাকার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী করে মনিরুল হক সাক্কুকে, যিনি গত নির্বাচনে জিতেছিলেন। গত নির্বাচনে সাক্কুর কাছে হেরে যাওয়া আফজল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ।
নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম এই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বড় নির্বাচনে বিএনপি সিইসির কথায় আস্থা রেখেছিলেন।
তবে বৃহস্পতিবার ভোট শুরুর পর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সাক্কুর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সকাল থেকে আওয়ামী ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মী ও এজেন্টদের মারধর করে প্রায় অধিকাংশ কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। দুপুরের পর থেকে ককটেল ফাটিয়ে বেপরোয়াভাবে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানে মাতোয়ারা হয়ে উঠে।”
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাস দমনে কমিশনের তাদের ক্ষমতা প্রয়োগের নজির তারা দেখেননি।
“নিশ্চয়ই কমিশন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে যে ভুমিকা রাখা উচিৎ ছিলো, তা রাখতেও ব্যর্থ হয়েছে এই কমিশন।”
ভোটের ফল মেনে নেবেন কি না- প্রশ্ন করা হলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “নির্বাচন সংক্রান্ত আরও যেসব বক্তব্য তা আমরা পরে বলব। এখন তাৎক্ষণিক নির্বাচনে যেসব তথ্য পেয়েছি, তা জানালাম।”
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লায় বিভিন্ন কেন্দ্রের অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগতদের কেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করে জাল ভোট দেওয়ার নানা অভিযোগ করে তার পক্ষে আলোকচিত্র তুলে ধরেন রিজভী।
বহিরাগতদের অনুপ্রবেশে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থ ছিল দাবি করে তিনি বলেন, “বলা হয়েছে সিটি করপোরেশনের যারা নাগরিক নন, তারা ২৮ তারিখ চলে যাবেন। আমাদের যেসব নেতৃবৃন্দ ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে গেছেন তারা চলে এসেছেন।
“তাহলে আজকে কী করে বহিরাগতরা সিটি করপোরেশন এলাকায় ঢুকতে পারল, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে সন্ত্রাস করল,জাল ভোট করল?”
কুমিল্লার ভোটচিত্র নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে বলে রিজভীর দাবি।
“অন্যথায় হাসিনা মার্কা নির্বাচন দিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুল আউয়াল খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, রাজীব আহসান, মামুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।