সোমবার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের নেজারত শাখায় মামলাটির নথি পৌঁছে দেওয়া হয় বলে এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী তাপস পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের নির্দেশনার পর এ মামলার নথি অন্য আদালতে স্থানান্তর করা হল। আগামী ৩০ মার্চ খালেদার আত্মপক্ষ শুনানির দিন নির্ধারিত আছে।
তাপস পাল জানান, বিচারক কামরুল হোসেন পুরান ঢাকার বকশি বাজারের অস্থায়ী এজলাসে গিয়ে এ মামলায় আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, নাকি ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত ভবনে নিজের এজলাসে শুনানি করবেন- সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
এ আদালতের কর্মচারী (পেশকার) ফয়েজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন “কাল অথবা পরশু জানা যাবে কোথায় বসে স্যার এ মামলার বিচার করবেন।”
ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
তিনি আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণের পর ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ আদালতে আসেন নতুন বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। এরপর দুই বছরে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি আসামির আত্মপক্ষ শুনানি পর্যায়ে আসে।
এ পর্যায়ে খালেদার পুনঃতদন্তের আবেদন আদালত নাকচ করায় গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানান।
খালেদা জিয়ার অনাস্থার আবেদনে ৮ মার্চ হাই কোর্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজকে (মহানগর দায়রা জজকে) মামলাটির বিচারের দায়িত্ব দিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন।
খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।