খালেদার এতিমখানা দুর্নীতি মামলার নথি স্থানান্তর

খালেদা জিয়ার এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথি ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত থেকে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2017, 04:16 PM
Updated : 27 March 2017, 04:16 PM

সোমবার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের নেজারত শাখায় মামলাটির নথি পৌঁছে দেওয়া হয় বলে এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী তাপস পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের নির্দেশনার পর এ মামলার নথি অন্য আদালতে স্থানান্তর করা হল। আগামী ৩০ মার্চ খালেদার আত্মপক্ষ শুনানির দিন নির্ধারিত আছে।

তাপস পাল জানান, বিচারক কামরুল হোসেন পুরান ঢাকার বকশি বাজারের অস্থায়ী এজলাসে গিয়ে এ মামলায় আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, নাকি ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত ভবনে নিজের এজলাসে শুনানি করবেন- সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

এ আদালতের কর্মচারী (পেশকার) ফয়েজ আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন “কাল অথবা পরশু জানা যাবে কোথায় বসে স্যার এ মামলার বিচার করবেন।”

ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তিনি আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণের পর ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ আদালতে আসেন নতুন বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। এরপর দুই বছরে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি আসামির আত্মপক্ষ শুনানি পর্যায়ে আসে।

এ পর্যায়ে খালেদার পুনঃতদন্তের আবেদন আদালত নাকচ করায় গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানান।

খালেদা জিয়ার অনাস্থার আবেদনে ৮ মার্চ হাই কোর্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজকে (মহানগর দায়রা জজকে) মামলাটির বিচারের দায়িত্ব দিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ অগাস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন।

খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

এছাড়া সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।