৫ বছর পর স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা

পাঁচ বছর পর স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2017, 12:59 PM
Updated : 26 March 2017, 02:47 PM

রোববার বিকালে ঢাকার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর ঘুরে পুনরায় নয়া পল্টনে ফিরে শেষ হয় বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা; যার সামনে ছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি।

ঘোড়ার গাড়ি, হাতি নিয়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তাদের হাতে ছিল নানা রঙের ব্যানার,ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড।

বিকাল সোয়া ৩টায় শোভাযাত্রা শুরুর পর ৩০ মিনিটের মধ্যে অগ্রভাগ পৌঁছে যায় শান্তিনগরের কাছে, তখনও মিছিলের শেষ ভাগ ছিল নয়া পল্টনে।

শোভাযাত্রার কারণে মালিবাগ থেকে কাকরাইল, বিজয় নগর, মতিঝিল সড়কের ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।

শোভাযাত্রার শুরুতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা বহন করেন কর্মীরা। তার পেছনে ছিল ঢাকা মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, উলামা দলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।

ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের জুয়েল, নুরী আরা সাফা, হেলেন জেরিন খান, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, অধ্যাপক মামুন আহমেদ, হেলাল খান, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান।

শোভাযাত্রায় সমাগমে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস।

সর্বশেষ ২০১২ সালে বিএনপি স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রার অনুমতি পেয়েছিল। তারপর ২০১৫ সালে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা করতে পেরেছিল।

নয়া পল্টনে শোভাযাত্রার আগে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, “আজ আমার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন, গণতন্ত্র লুণ্ঠিত, ভোটের অধিকার নেই, বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

“আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই, আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই। সেজন্যই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ তরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সকলকে নেমে পড়তে হবে।”

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি পুনরায় জানান বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, “দেশে বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই স্বাধীনতার দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে। সমস্ত মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াবে যদি গণতন্ত্রকে তার পথে চলতে দেওয়া হয়।

“যদি আজকে জঙ্গিবাদকে এই সরকার শুধু তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে সকলকে এক করতে পারে, তাহলে সেটা সম্ভব হবে।”

মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও বক্তব্য রাখেন।