রোববার রাতে গুলশানে নিজের কার্যালয়ে এই বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বৈঠকে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার ছিলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ছিলেন বৈঠকে।
বিএনপির এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপি যে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা প্রণয়নের কাজ করছে, যা শেষ পর্যায়ে আছে। ম্যাডাম তা নিয়ে উনাদের মতামত শুনেছেন।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উক্তির বিষয়টি তুলে দলের প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমে জানাতে চেয়ারপারসনকে অনুরোধ জানানো হয় বৈঠক থেকে।
ওই বৈঠকের পর সোমবার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব ফখরুল।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি ম্যাডামকে সাংগঠনিক তৎপরতা আরও বাড়াতে এবং ঢাকার বাইরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছি।”
বৈঠকে কলামনিস্ট মাহফুজ উল্লাহও ছিলেন বলে খবর ছড়ালেও তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি বৈঠকে ছিলাম না। আমার ভাই অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহসহ চারজন ছিলেন।”
তবে ওই সময়ে গুলশানের ওই কার্যালয়ে একটি ব্যক্তিগত কাজে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন বলে জানান মাহফুজ উল্লাহ।