তিস্তা ছাড়া আর কোনো চুক্তি মানবে না জনগণ: বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া অন্য কোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2017, 09:59 AM
Updated : 13 March 2017, 10:34 AM

সোমবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হবে বলে ভারতীয় গণ্যমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া দেশের স্বার্থবিরোধী অন্য কোনো চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আশঙ্কাটা শুধু আমাদের না, আশঙ্কাটা ভারতের পত্র-পত্রিকায় বেশি বেরিয়ে এসেছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, ভারতের পত্র-পত্রিকায় বেশি এসেছে যে, ২৫ বছরের চুক্তি আবার একটা হতে যাচ্ছে- এই ধরনের একটা খবর। আমরা জানি না।

আমরা সেই জন্য চাচ্ছি, ‘গভর্নমেন্ট শুড কাম আউট উইথ দ্য কনটেন্ট’ যে, সেখানে কী আলোচনা হতে যাচ্ছে- এটা বলা উচিত।”

দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে যায় অর্থাৎ তার স্বার্থের সাথে সংঘাত ঘটে এই ধরনের কোনো চুক্তি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।”

নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন মির্জা ফখরুল।

তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা সব সময় আশাবাদী। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আমরা আশা করে আছি যে, আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে, যেহেতু তাদের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে তিস্তার পানিটা অন্তত পাবো। আজ পর্যন্ত এক ফোঁটা পানি আমরা পাইনি।

“শুধু তাই না, পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হচ্ছে পানি দেওয়া সম্ভব না। দেখছি আমরা, পত্রিকাগুলোতে বলা হচ্ছে সম্ভবনা খুব কম। আমরা দেখছি, আমাদের ৫৪টা অভিন্ন নদীর পানি আমরা পাচ্ছি না।”

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনেক সুবিধা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কোনো সুবিধা পায়নি বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

“আমাদের দিক থেকে যা দেওয়ার দিয়ে দিয়েছে। ট্রানজিট দিয়ে দেওয়া হয়েছে, নদী পথে নৌ ও স্থল পথে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে, বন্দরগুলো ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, বন্দর ব্যবহার করছে।”

সীমান্তে বাংলাদেশিদের বেআইনিভাবে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে আলোচন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ফখরুল।

জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, এটা আইনে আসুক। আমরা গণহত্যার বিরুদ্ধে, আমরা কনডেম করেছি।”

নৌ বাহিনীর জন্য চীন থেকে আনা দুটি সাবমেরিনের বিষয়ে তিনি বলেন, “সাবমেরিন যদি ডুবে ঠিক মতো এবং আর যদি শত্রু পক্ষের জাহাজকে মারতে পারে, তাহলে ওয়েলকাম জানাই। তাই ডুববে কি না…।”