নামের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জুড়ে গজিয়ে ওঠা নানা সংগঠনগুলোর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে।
কোনো কোনো সংগঠনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। হেফাজতে ইসলামের বিতর্কিত সব দাবির প্রতি ওলামা লীগের সমর্থনসূচক বক্তব্যও আসছে।
রোববার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক আলোচনা সভায় এই প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাস্তায় দেখলাম আওয়ামী প্রচার লীগ, আওয়ামী ওলামা লীগ, প্রজন্ম লীগ।
“এই যে রাজনীতির নামে কিছু কিছু দোকান খোলা হয়েছে। এই দোকানগুলো বন্ধ করতে হবে।”
এই ধরনের সংগঠনগুলোকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না জানিয়ে কাদের বলেন, “স্বীকৃত সংগঠনের বাইরে কেউ বঙ্গবন্ধু, নেত্রী, জয় ও দলের নেতাদের ছবি ব্যবহার করলে তাদের প্রতিরোধ করুন।”
এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ রয়েছে, তা উঠে আসে ওবায়দুল কাদেরের কথায়ও।
“এই সংখ্যার এখন আর হিসেব নেই, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে গেছে। এক একটা দিবস আসে আর এইসব দোকানের নামে চাঁদাবাজি হয়।”
এসব সংগঠনের কারণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে তাদের বিরুদ্ধে পদেক্ষপ নিতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের।
“এই সকল সংগঠনের হেডকোয়ার্টার কোথায়, প্লিজ আসুন সবাই মিলে বন্ধ করি।”
গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের কোনো নেতা এই সকল সংগঠনের অতিথি হলে প্লিজ আপনারা কাভারেজ দিবেন না। টিভিতে দেখানো আর পত্রিকায় নাম আনার জন্যই এই সকল দোকান।”