খালেদার নাইকো মামলা: দুদকের আবেদন শুনবে আপিল বিভাগ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলা স্থগিতের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছে চেম্বার আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2017, 01:35 PM
Updated : 12 March 2017, 01:35 PM

হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন রোববার এই আদেশ দেন। 

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

খুরশীদ আলম খান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী ১৬ মার্চ ফুল কোর্টে শুনানি হবে। আপাতত হাই কোর্টের আদেশই বহাল থাকছে।”

বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচার মো. খসরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ৭ মার্চ খালেদার নাইকো মামলা স্থগিতের আদেশ দেয়।

মামলার আরেক আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বিষয়ে যে রুল শুনানি চলছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত খালেদার মামলার কার্যক্রমও স্থগিত থাকবে বলে হাই কোর্ট জানিয়েছে।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এই মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।

পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় সেখানে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এর মধ্যে মওদুদের মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে গত ১ ডিসেম্বর রুল দেয় হাই কোর্ট।

তার আইনজীবীরা জানান, নাইকো-বাপেক্স ও পেট্রো বাংলার মধ্যে চুক্তিতে দুর্নীতির বিষয়টি ওয়াশিংটনের একটি সালিশী আদালতে বিচারাধীন। চলতি বছর ১৯ জুলাই সালিশী আদালত এক আদেশে সেখানে বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলে।

হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল করে। এর শুনানি করে আপিল বিভাগ ১৯ জানুয়ারির মধ্যে রুল নিস্পত্তির নির্দেশ দেয়।বর্তমানে বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়ালের বেঞ্চে ওই রুলের শুনানি চলছে।

মওদুদের মত একই যুক্তিতে খালেদা জিয়াও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন।