আগামী ৩০ মার্চ অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে বিএনপি ইতোধ্যে বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
২০১২ সালের নির্বাচনে সাক্কু যাকে হারিয়ে এই সিটির প্রথম মেয়র হন, সীমা সেই আফজল খানের মেয়ে।
রোববার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সীমাকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত হয় বলে ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সীমা বর্তমানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর আগে তিনি কুমিল্লা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আদর্শ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
কুমিল্লা চেম্বার অব কর্মাসের সদস্য সীমার স্বামী নিসার উদ্দিন আহমেদ মিন্টু পেশায় ব্যবসায়ী। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে।
কুমিল্লার রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত আফজল খান।
গতবার নির্দলীয় নির্বাচনে মেয়র পদে তাকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দিলেও দলকে জয়ী করতে ব্যর্থ হন তিনি। এবার দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে তার মেয়ে লড়বেন নৌকা প্রতীকে।
কুমিল্লায় পারিবারিক প্রভাব বলয় তৈরির জন্য সমালোচিতও আফজল। আওয়ামী লীগের তার বিরোধী হিসেবে পরিচিত সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এই নির্বাচনে ক্রীড়া সংগঠক আরফানুল হক রিফানকে মেয়র পদপ্রার্থী দেখতে চেয়েছিলেন বাহার।
কুমিল্লায় মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৩৮৪ জন। ৩০ মার্চ তাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে সাক্কু কি ধানের শীষ প্রতীকেও জয় ধরে রাখবেন, না কি নৌকার চড়ে বাবার হারের শোধ নেবেন সীমা।
সুরঞ্জিতের আসনে প্রার্থী স্ত্রী
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে শূন্য সুনামগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তার স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত।
গণভবনে একই সময় আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনও ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যু হলে সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লার এই সংসদীয় আসনটি শূন্য হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জাতীয় সংসদে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাতবার। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এদিকে নরসিংদী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আবদুল মতিন ভূঞাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের সিদ্ধান্তও হয় গণভবনের ওই বৈঠকে।