আদালতে সময় চেয়ে পেলেন খালেদা

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনে সাড়া দিয়ে জিয়া ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলা দুটির শুনানি পিছিয়েছেন ঢাকার জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।

আদালত  প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2017, 03:43 PM
Updated : 26 Feb 2017, 03:43 PM

রোববার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে আলোচিত মামলা দুটির শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল।

অসুস্থতার কারণে খালেদা আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে তার আইনজীবীরা জানান।

সেইসঙ্গে তারা বলেন, এতিমখানা ট্রাস্ট মামলাটিতে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তা বদলির নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া, যা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

জিয়া দাতব্যর ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া ৩২ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাই কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে, তাও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে আইনজীবীরা জানান।

এসব কারণ দেখিয়ে তারা সময়ের আবেদন জানালে বিচারক আবু আহমেদ শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ মার্চ নতুন দিন ধার্য করে দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন গত কিছু দিন ধরে এই মামলা দুটিতে বকশীবাজারের এই আদালতে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। 

এই মামলা দুটিতে খালেদাকে সাজা দিয়ে তাকে নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ বন্ধ করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

এতিমদের জন্য বিদেশি থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

আসামি তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন জামিনে আছেন। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু হতেই পলাতক।

দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।