বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা্ আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলটি অংশ নেবে ধরে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।
সিলেটের এক আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেত্রী আমাদের নির্বাচন কমিশনে যেতে বলেছেন।
“সব ভোটের তথ্য নির্বাচন কমিশন থেকে জোগাড় করতে বলেছেন। ওই সব নির্বাচনে কারা প্রার্থী ছিল, কে কত ভোট পেয়েছিল, সব তথ্য বিশ্লেষণ করে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।”
২০০১ সালের ভোটে বিএনপি বিপুল ভোটে জয় পেলেও তারপরের নবম সংসদ নির্বাচনে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়জয়কারের মধ্যে বিএনপির আসন ৪০টিরও নিচে নেমে আসে।
উত্তরাঞ্চলের এক সংসদ সদস্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের বলেছেন, এলাকায় জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন না বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।”
আরেক সংসদ সদস্য বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগের কোনো সংসদ সদস্য কী করছেন, সব তথ্যই রাখছেন বলে জানিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী।
“তিনি বলেছেন, এলাকায় কোন সংসদ সদস্য কী করেন সবকিছুর তথ্য তার কাছে আছে। এছাড়া এলাকায় গ্রুপিং বা কোন্দল না করারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।”
তার কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “শুধু উন্নয়ন দিয়ে হবে না। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। অতীতে জনগণের কাছ থেকে অনেক কিছু নিয়েছেন, এখন জনগণকে দিন।”