বিশ্ব ব্যাংকের আনা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ওই অভিযোগ কানাডার আদালতে খারিজ হওয়াকে ‘দুঃস্বপ্নের অবসান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
বুধবার এক বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, “বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃক পদ্মা সেতুর এ অভিযোগ ঘিরে সর্বোচ্চ সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। তাকে রাজনীতি ও মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছে। একজন দক্ষ মন্ত্রীর ক্যারিয়ার নষ্ট হয়েছে।”
কানাডার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের কর্মীরা ঘুষের বিনিময়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রফা করেছিলেন অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করেছিল বিশ্ব ব্যাংক।
দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ওই অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে বিশ্ব ব্যাংককে বাদ দিয়েই পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।
ওই অভিযোগ নাকচ করে কানাডার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ‘গালগল্প’ ছাড়া কিছু নয়।
বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাংলাদেশে মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার করা হয় সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে।
দুদকের তদন্তে ওই অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় সরকারি কর্মকর্তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এখন শিল্প মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মোশাররফ।
আবুলকে মন্ত্রিসভায় আনার পক্ষে যুক্তি হিসেবে তার চাকরিতে ফিরে আসার প্রসঙ্গ টেনেছেন এরশাদ।
তিনি বলেন, “যেহেতু ভুল তথ্য ও মিথ্যা অপরাধে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে, তার ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুল হোসেনের মন্ত্রিত্ব পুনর্বিবেচনায় নিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে আমার বিশ্বাস। একই ঘটনায় সরকারের তৎকালীন সচিবকে ইতোমধ্যে চাকুরিতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।”
পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ প্রতিবেদন প্রকাশকারী পত্রিকাগুলোর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন এরশাদ।
“যাদের মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতু বিতর্কিত হয়েছে, যেসব পত্রিকা উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৎকালীন মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারকে হেয় প্রতিপন্নের চেষ্টা করেছে, যাদের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত,” বিবৃতিতে বলেন তিনি।