আত্মসন্তুষ্টি ডোবাবে: কাদের

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগই জয়ী হবে- এমন আত্মসন্তুষ্টি দলকে ডোবাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2017, 10:03 AM
Updated : 22 Jan 2017, 10:32 AM

রোববার ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “সরকারের মেয়াদ আর মাত্র এক বছর দশ মাস। উন্নয়ন অর্জনের কোনো ঘাটতি না থাকলেও সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

“আমরা ভালোর জন্য আশা করব, কিন্তু মন্দের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে জিতেই গেছি এই আত্মসন্তুষ্টি আমাদেরকে ডোবাবে।”

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার না থাকলে নেতাকর্মীদের ‘ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হবে’ মন্তব্য করে এজন্য আরও বেশি সতর্ক হওয়ার তাগিদ দেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।

বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, “আরেকবার যদি আমাদের ক্ষমতা হারাতে হয়, তবে ২০০১-০৬ মেয়াদের থেকেও ভয়ঙ্কর, ভয়াল রূপ নিয়ে তারা আবির্ভূত হবে। তখন আর প্রাণে বাঁচতে পারবেন না।”

বিএনপি-জামায়াত জোটের ওই আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে ‘রক্ত দিতে হয়েছে’ উল্লেখ করে পরেও এমন পরিণতির শঙ্কায় সবাইকে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

“খারাপ সময়ে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। যারা খারাপ কাজ করবে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সাথে সাথে ভালোরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার এত উন্নয়ন কারও খারাপ কাজের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না আমরা।”

ওবায়দুল কাদের এসময় শনিবার ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারির উদাহরণ টানেন।

বলেন,“অনেক দিন পর ঢাকায় গণ্ডগোল হয়েছে। হঠাৎ ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ নেতারা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। আমি তাদের এই ঘটনাকে অপকর্মই বলব। যেটা আমাদের পার্টির ভাবমুর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে।”

ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ‘অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে’ বলেও জানান গত অক্টোবরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আসা কাদের।  

“প্রধানমন্ত্রী গতকাল দেশে ফিরে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা অপকর্ম করবে তাদেরকে অ্যারেস্ট করতে, দল থেকে বহিষ্কার করতে। গতকাল অপকর্ম হয়েছে গতকালই অ্যারেস্ট করা হয়েছে, বহিষ্কারর করা হয়েছে।”

এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী।

তিনি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির অবস্থানেরও তীব্র সমালোচনা করেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে খালেদা জিয়া কমিশনার হিসেবে নিজেদের দলীয় লোকের নাম দিয়ে উল্টো আওয়ামী লীগকে দোষী বানানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

“আপনি যাদের নাম দিয়েছেন তার মধ্যে কে এম হাসান সাহেব কি বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন না? হাসান সাহেবরা কি নিরপেক্ষ?

“উনি দলীয় লোকের নাম দিয়েছেন আবার বলেছেন সরকারের ইচ্ছায় কোনো ইসি গ্রহণ করবেন না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই শেখ হাসিনার ইচ্ছায় কমিশনে দলীয় লোকের নাম থাকবে না। এমন কি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থন করেন এমন লোকেরও নাম থাকবে না।”

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।