সোমবার রায়ের পর সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, “আদালত যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন; আমরা আশা করি নিম্ন আদালতের এ রায় উচ্চ আদালতেও একই থাকবে, বজায় থাকবে।”
নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন সোমবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে নারায়ণগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ডুবিয়ে দেওয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে।
ওই ঘটনা সে সময় পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেয়; হত্যাকাণ্ডে র্যাবের কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেরও শিরোনাম হয়।
নিহত নজরুল ও প্রধান আসামি নূর হোসেন দুজনেই ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা। কাউন্সিলর নূর হোসেন এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে নজরুলকে পরিকল্পনা করেন এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে।
রায়ের পর দুপুরে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমীতে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। এ সরকারের আমলে ন্যায়বিচার যে হয়, সাত খুনের মামলার এ রায়ই তার প্রমাণ।”
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অপরাধ করে কেউ পার পাবে না, সে যত প্রভাবশালীই হোক। এদেশে আর বিচারহীনতা সম্ভব নয়।”