ছাত্রলীগ কি আইনের ঊর্ধ্বে: প্রশ্ন কাদেরের

ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2016, 08:02 PM
Updated : 22 Dec 2016, 08:02 PM

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আইনের ঊর্ধ্বে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র সুবর্ণ জয়ন্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাদের বলেন, “গতকাল বুধবার হঠাৎ করে দেখলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে।

“এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এর জন্য কি আইন নেই? ছাত্রলীগ কি আইন কানুনের ঊর্ধ্বে? যে ছাত্রলীগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে, সেই ছাত্রলীগের দরকার নাই।”

তিনি বলেন, “ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে, এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অর্থাৎ মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলতে হবে- আমি এর বিপক্ষে। এর জন্য তো আইন আছে, আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

“আমি সঙ্গে সঙ্গে ওখানে কথা বলেছি, ছাত্রলীগকে বলেছি যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বহিষ্কার করতে। আর প্রশাসনকে বলেছি, তাদের গ্রেপ্তার করতে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সেখানে ক্যম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি বলেছি, পুলিশ ঢুকতে দিলেন না, সতিত্ব ও শুচিতা নষ্ট হবে।

“কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে কি শুচিতা থাকল? আমি সেখানে ক্লাশ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম। এটা একটা দৃষ্টান্ত করে দিলাম। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও যেন এটা অনুসরণ করে।”

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ১৭ দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে ২১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে সংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতার জন্য শিক্ষকদেরও দায়ী করেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ওবায়দুল কাদের।

“আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এত বেশি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, যেটা দরকার নেই। আর এটা তারা করেন পদোন্নতি ও নিজেদের বলয় তৈরি করার জন্য। আমি বলছি- না, শিক্ষকদের রাজনীতি করা অভিপ্রেত নয়, রাজনীতির প্রতি তাদের সমর্থন অবশ্যই থাকবে।”