সবাইকে নিয়ে চলব: আইভী

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থ দফায় নারায়ণগঞ্জ নগরবাসীর সেবা করার দায়িত্ব পেয়ে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এই জয়ে মানুষের ভালবাসার প্রতিফলন ঘটেছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2016, 04:05 PM
Updated : 23 Dec 2016, 04:45 PM

নির্বাচনে বিজয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

বিজয়ের মাসে এই জয়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসর্গ করেছেন তিনি।

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বৃহস্পতিবার ভোট হয় নারায়ণগঞ্জে। বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের প্রায় ৮০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন আইভী।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোটে নিজের দলের শামীম ওসমানকে হারিয়ে মেয়র হয়েছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার আগে দুই দফায় নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ চুনকার মেয়ে আইভী। তার বাবাও নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ভোটের ফল প্রকাশে নৌকার পাল্লা ভারী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর দেওভোগে আইভীর বাসায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে তার বাড়ির উঠান।

রাত ১০টা পর্যন্ত নিজের বাড়িতেই ছিলেন আইভী। ঘর থেকে বেরিয়ে হাত নেড়ে সমর্থকদের শুভেচ্ছার জবাব দেন তিনি।

আইভী বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আরেকটি বিজয় হবে। সত্যি হয়েছে। এ বিজয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নামে উৎসর্গ করলাম।

“যারা আমার বিজয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের নিয়ে পথ চলতে চাই। একইসঙ্গে উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষা করতে চাই।”

গতবার হেরে যাওয়া শামীম ওসমান এবার প্রকাশ্যে আইভীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের অন্যদের সঙ্গে নিয়ে তার ‘ছোট বোন’ চলবেন বলে তিনি আশা করছেন।  

নারায়ণগঞ্জবাসীকে ধন্যবাদ ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আইভী বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের জনগণের প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাসের সহিত এই নৌকা প্রতীক দিয়েছিল, নারায়ণগঞ্জের মানুষ সেই আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে। এই বিজয়ে মানুষের ভালবাসার প্রতিফলন ঘটেছে।”

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি শীতলক্ষ্যা নদীতে সেতু তৈরির জন্য কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি শীতলক্ষ্যা সেতুর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব, যাতে পূর্বপাড় ও পশ্চিমপাড়ের মানুষের যোগাযোগের জন্য ব্রিজটি করে দিতে পারি। অন্যান্য কাজ যেগুলো করার, সেগুলো তো করবই।”

ফিরে দেখা

২০১১ সালে এ সিটি করপোরেশনের নির্দলীয় নির্বাচনে আইভী ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৩ ভোটে পরাজিত করেন তার নিজের দলেরই আরেক প্রার্থী শামীম ওসমানকে।

সেবার আইভী পান ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট। আর আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমান পান ৭৮ হাজার ৭০৫ ভোট।

ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার পান ৭ হাজার ৬১৬ ভোট। ভোটের আগের রাতে দলীয় সিদ্ধান্তে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।