বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর সোয়া ৮টার দিকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছি- এখন সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত খারাপ খবর পাইনি। ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেব।”
আদর্শ স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করার আশ্বাস দিলেও ওই কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি পর্যাপ্ত বলে মনে হয়নি সাখাওয়াতের কাছে।
তিনি বলেন, “যে আশা নিয়ে নির্বাচনে এসেছি, নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসতে পারবে; নিরপেক্ষ থেকে ভোট গ্রহণ করবেন। অবাধ, সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে জয়ী হব।”
গতবারের নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জনের কারণে এবারও তেমন কিছু ঘটতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করে আসছে আওয়ামী লীগ। তবে প্রচার শেষে সাখাওয়াত বলেছিলেন, এবার বর্জন নয়, ‘জয়ের জন্য’ শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন তিনি।
সকাল ৮টা ৭ মিনিটে সাখাওয়াত কেন্দ্রে পৌঁছালে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার তাকে স্বাগত জানান। পরে ৬ নম্বর ভোটকক্ষে ভোট দেন সাখাওয়াত, যিনি সাত খুনের মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আলোচনায় আসেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইভী সকাল সাড়ে ৯টায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিম দেওভোগ এলাকার শিশুবাগ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন বলে তার নির্বাচনী মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে।
আইভী ও সাখাওয়াত ছাড়াও মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন কোদাল প্রতীকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি এজহারুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি মাছুম বিল্লাহ।
ব্যালটে নাম থাকলেও বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থনের জানিয়েছেন এলডিপির কামাল প্রধান এবং কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস।