এনসিসি নির্বাচন: কাপড়ে ঘেরা ৪ অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র

খোলা মাঠের একপাশে বাঁশ আর কাপড়ে তৈরি সারি সারি বুথ; ভোটগ্রহণের কাগজপত্র তৈরিতে ব্যস্ত নির্বাচনী কর্মকর্তারা আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নিয়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদক নারায়ণগঞ্জ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2016, 04:43 PM
Updated : 21 Dec 2016, 04:45 PM

এ দৃশ্য বুধবার বেলা ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রের।

ধনকুণ্ডা এলাকার পপুলার স্কুলের সামনে ঈদগাহ মাঠের উত্তর প্রান্তে তৈরি এ ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে ৩ হাজার ৩১২ জন পুরুষ ভোটারের; স্কুলের ভেতরে রয়েছে ৩ হাজার ৪১৬ নারীর ভোটারের জন্য আরেকটি ভোটকেন্দ্র।

মোট ১৭৪টি কেন্দ্রের মধ্যে চারটি কেন্দ্র এই রকম অস্থায়ীভাবে তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যেগুলোর কথা বারবার টেনে আসছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকায় ৪৯ নম্বরে থাকা ধনকুণ্ডা এলাকার অস্থায়ী ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এহতেশামুল হক। কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছার পর সেগুলো গুছানো ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টনের সময় কথা হয় তার সঙ্গে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, মঙ্গলবারই অস্থায়ী এ কেন্দ্রে কাজ সম্পন্ন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নিরাপত্তার বিষয়ে এহতেশামুল বলেন, “সার্বিক পরিস্থিতি ভাল। অস্থায়ী কেন্দ্র হওয়ায় বিশেষ নজরতো এর প্রতি রয়েছেই। দুই কেন্দ্র এক জায়গায়। দুটির জন্যই পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্সকেও খবর দিয়ে আনা যাবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।”

ওই কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া মোস্তফা জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের স্বার্থে পুরো ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তারা।

ভোটের জন্য কাপড়ে ঢাকা এই বুথ নারায়ণগঞ্জ ক্লাব কেন্দ্রের; তবে পুরো ভোটকেন্দ্রই কাপড়ে ঢাকা এ রকম চারটি কেন্দ্র রয়েছে।

”পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য আছে। এখন পর্যন্ত পরিবেশ ঠিক থাকবে বলে মনে করছি’, বলেন নির্বাচন উপলক্ষে সেখানকার দায়িত্বে আসা এই পুলিশ কর্মকর্তা।

অস্থায়ী চার কেন্দ্রের মধ্যে বাকি তিনটির অবস্থান সদর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে। কাপড়ে আর বাঁশ দিয়ে ক্লাবের পার্কিং এলাকায় দুটি এবং দ্বিতীয় তলায় একটি ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

সেখানকার একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় ঢালি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একেবারে নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে যতটুকু কাজ হওয়ার কথা নিরাপত্তাসহ সবদিক বিবেচনায় ততটুকুই হচ্ছে। এই তিনটি কেন্দ্রে ন্যূনতম কোনো অনিয়ম-অসঙ্গতি হবে বলে আমি করি না।”

এখানকার কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৮৮জন ভোটার রয়েছেন বলে জানান তিনি।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে এক প্রশ্নে রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান সরকার বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, অস্থায়ী চারটিসহ মোট ১৩৭টি কেন্দ্রকে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র হিসাবে অভিহিত করছেন।

“সবদিক বিবেচনায় আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে পারব বলে মনে করছি।”