নারায়ণগঞ্জে প্রচারে খালেদাকে বাধার অভিযোগ ভ্রান্ত: কাদের

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2016, 02:34 PM
Updated : 21 Dec 2016, 02:34 PM

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের প্রচারে বগিরাগতদের অংশগ্রহণের বিষয়ে ইসির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে প্রচারের অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানায় বিএনপি।

ইসির সাড়া না পাওয়ার পর বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ ঠেকাতেই নির্বাচন কমিশন ৭২ ঘণ্টার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

বুধবার ধা্নমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জে দলীয় প্রচার দলের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “৭২ ঘণ্টা হঠাৎ করে আরোপিত হয়নি। এর আগে বিএনপি যখন ৪ সিটি কর্পোরেশনে জয়লাভ করেছে তখনও ৭২ ঘণ্টার আচরণবিধি ছিল। বিএনপির এই অভিযোগ একেবারে ভ্রান্ত, ভিত্তিহীন।”

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের প্রচারণার বিষয়ে ইসির একটি পরিপত্রে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে থেকে আসা বহিরাগত ব্যক্তি বা রাজনৈতিক নেতাদের জন্য প্রচারণার শেষ দিন ১৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টা এবং স্থানীয় নেতাদের জন্য প্রচারণার শেষ সময় ২০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টা।

গত কয়েকদিন ধরেই বিএনপি মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বলছিলেন, ১৯ অথবা ২০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে যাবেন।

সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জে ভোটের প্রচারে না যাওয়ার কারণ হিসেবে ‘মামলা মোকদ্দমার হাজিরা, শারীরিক অসুস্থতা, অন্যান্য ব্যস্ততা ও সমস্যা’র কথাও বলেন।

ভোট কারচুপির আগাম অভিযোগ প্রত‌্যাখ‌্যান করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচনের আগেই হেরে যাওয়ার একটা প্রবণতা কেন জানি তাদের (বিএনপির) মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। তারা জিতলে সঠিক, না জিতলে খারাপ।

“কাল দুপুর পর্যন্ত বিএনপি বলবে, সরকারি দল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছে। এই ইঞ্জিনিয়ারিং আপনাদেরই সৃষ্টি। কীভাবে করে, তা আপনারাই জানেন।”

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না হওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সেনাবাহিনীকে আমরা বিতর্কিত করতে চাই না। বিএনপির এই দাবি অযৌক্তিক। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতেই এই দাবি তারা জানিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির বিষয়ে এই মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিমান বিপর্যয়ের ঘটনায় তদন্ত রিপোর্টে যে বিষয়গুলো আজকে আমাদের সামনে এসেছে সেখানে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। নিরাপত্তার ঘাটতির সুযোগ নিয়ে নাটবল্টু ঢিলা করা হয়েছে। তা না হলে এ রকম হতে পারত না।

“আসলে তাকে (প্রধানমন্ত্রী) সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র যে চলছে না, তা আমরা বলছি না। নেত্রীকে ফিজিক্যালি অ্যাটাক করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ সুজন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।