বর্জন নয়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটে থাকার ঘোষণা বিএনপির

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার আর বর্জন নয়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটে থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2016, 08:43 AM
Updated : 21 Dec 2016, 08:43 AM

বুধবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “নির্বাচনের যে সময়, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য আমরা আগেও আহবান জানিয়েছি, এখনও আহ্বান জানাব। ভোটাররাও আগের ঐতিহ্য অনুযায়ী সকল ধরনের ভয় উপেক্ষা করে ভোট দেবেন।

“আমরা এখন আহ্বান জানাব, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওখানে (ভোট কেন্দ্রে) বিএনপির যারা পোলিং এজেন্ট আছেন, তারা কেউ সরে আসবেন না। ভোটের সময় পর্যন্ত ভোট নিশ্চিত করে সেখান থেকে ফিরে আসবেন। ভোট বর্জনের কোনো প্রশ্নই আসে না।”

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে হচ্ছে। বিভিন্ন দলের সাতজন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও মূল আলোচনা চলছে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খানকে নিয়ে।

২০১১ সালের এই সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে দলের সিদ্ধান্তে ভোট বর্জন করে সরে আসেন বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই নেতা এ কে এম শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াত আইভী মেয়র পদে লড়েছিলেন। তবে দলীয় সমর্থন শামীম ওসমানের পক্ষে থাকলেও ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন আইভী। আর বর্জনের পরও তৈমুর সাড়ে সাত হাজার ভোট পেয়েছিলেন।

রিজভী বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে বলব, সকল পোলিং এজেন্টের নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন ও ভোট গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

“ভোট কেন্দ্রের সকল পোলিং এজেন্টের দৃষ্টিসীমার মধ্যে অতিরিক্ত খালি ও ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্সগুলো রাখা এবং ভোট গণনার সময় ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্সগুলো উন্মুক্ত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেবে।”

নির্বাচন কমিশন শেষ বেলায় একটা অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।

ভোটে কোনো ধরনের কারসাজি হলে ‘নারায়ণগঞ্জবাসী ও ভোটাররা তা মোকাবেলা করবে’ বলেও সতর্ক করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের ‍উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল কাইয়ুম, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম ভুঁইয়া, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মনির হোসেন, আবদুল আউয়াল খান, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।