রোববার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “নির্বাচনের আর মাত্র তিনদিন বাকী। নির্বাচন কমিশন নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
“ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশের পরিবর্তে প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী কাজে। ভোট নেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে সরকার দলীয় ক্যাডারদের।”
রিজভী বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেবল তাই নয়, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংস্থার মধ্যে একসময়ের ছাত্রলীগ করা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।”
নারায়ণগঞ্জের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেখানে ভয়ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উৎকন্ঠিত। আমরা আবারও বিএনপির পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি।”
আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন বিএনপির এই নেতা।
শনিবার কৃষিবিদ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতৃত্বকে ‘গণতন্ত্র চর্চার’ পরামর্শ দিয়ে বলেন, “যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে,তাহলে এটা ওটা নানা ধরনের কথা না বলে গণতন্ত্রের চর্চা করুক।”
রিজভী বলেন, “এই বক্তব্য খুবই কৌতুকপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে। এখন যদি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে গণতন্ত্র চর্চা করতে হয়, তাহলে আমাদেরকে শিখতে হবে- কী করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করতে হয়, কী করে ভোট ডাকাতি করতে হয়, কী করে গুম করতে হয়, খুন করতে হয়, কী করে রক্তাক্ত লাশের উপরে দাঁড়িয়ে অনাচার করতে হয়- এগুলো শিখতে হবে।”
খালেদা জিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষেরও প্রতিবাদ জানান রিজভী।
“প্রধানমন্ত্রী নিঃসন্দেহে একজন জাতীয় নেতার মেয়ে, রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। উনি একজন বিরোধীনেত্রীকে কী করে এত নোংরা ভাষায় কটূক্তি করতে পারেন। উনার ভাষা এত অশোভন কেন? ”
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবীর মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।